আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন এমন পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিচ্ছে ইসরায়েল। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ইসরায়েলে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন বলেন দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।
সংক্রমণের গতি রোধ করতে ইতোমধ্যেই দেশটিতে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলেই গণহারে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হয়। গ্রীষ্মের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ অর্থাৎ তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৯ লাখের বেশি মানুষ।
দেশটিতে গত আগস্টের শেষে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ আবারও কমতে শুরু করেছে। সে কারণে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ঘোষণা দিয়েছেন যে, সীমান্তে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন যে কোনো দেশের পর্যটক ইসরায়েলে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। তবে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট ছয় মাসরে কম সময়ের হতে হবে।
এছাড়া নিজ নিজ দেশ ত্যাগের আগে এবং ইসরায়েলে প্রবেশের পর ভ্রমণকারীদের অবশ্যই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থান ৩২তম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৮ হাজার ৭৩ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ লাখ ৭ হাজার ১৪৮ জন।
এদিকে আগামী ১ নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডও ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়া বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিচ্ছে। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন ৪৬ দেশের নাগরিক।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে বিভিন্ন দেশ। ফলে বিশ্বের পর্যটন খাতে ধস নেমে এসেছে। তবে অনেক দেশেই সংক্রমণ কমতে থাকায় নতুন করে আবারও পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।